দুষ্কৃতিকারীরা সারা বাংলাদেশে রক্তপাত করছে কিন্তু ধরা পড়ছেনা কেন – রহুল কবির রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দুষ্কৃতিকারীরা সারা বাংলাদেশে রক্তপাত করছে, কিন্তু ধরা পড়ছেনা কেন? তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা কেন, আগেতো এমনটি ছিলনা, অপরাধ করার পর কয়েকদিনের মধ্যে তাদের খুঁজে পাওয়া যেতো, ধরা যেতো, একদিন দুদিন অথবা এক মাস তাদের ধরা যেতো ধরা পড়েছেই তারা।
তিনি বলেন, আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলছি আপনারা তৎপর হোন, নাহলে আপনাদের প্রতি সন্দেহ জাগবে। আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে অপরাধী ও খুনিরা পার পেয়ে গেলে এ দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। অসহায়দের পাশে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল হিমালয় পর্বতের মতো প্রাচীর হয়ে থাকবে। কোন দুষ্কৃতিকারী, অপরাধী আর যেন গ্রামে গ্রামে পরিবারে পরিবারে হামলা, গুলি ও আগুন দিতে না পারে সেটাই আমাদের দেখতে হবে।
রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে লক্ষ্মীপুরের ভবানীগঞ্জের সুতার গোপটা এলাকায় জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আওয়ামীলীগের কঠোর সমালোচনা করে আরও বলেন, এদের অত্যাচার,নৃশংসতা, ভয়বহতা, রক্ত পিপাসু ও এদের চেতনা সারা বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছিল। ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলির মুখে নিজের জীবন দিয়ে ছাত্র জনতা শেখ হাসিনার মতো ভয়ংকর দানবীকে বাংলাদেগশ থেকে বিতাড়িত করেছিল। তারপরও তারা থেমে নেই, তারা বাংলাদেশকে স্থীতিশীল থাকতে দিবেনা, যারা আশ্রয় দিয়েছে সেখান থেকে দুধ-কলা দিয়ে পোষণ করে সুতার টান দিচ্ছে, চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকে গুলি, ঢাকায় তরুণ ছাত্র নেতা হাদিকে গুলি করে হত্যা আর লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে শিশু হত্যা একই সুত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, লুটপাট চালিয়ে অর্থ পাচার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা এখন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন, যেনো দেশে কোন নির্বাচন না হতে পারে।
এর আগে অগ্নিদগ্ধ বিএনপি নেতাকে দেখতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ছুটে যান রিজভী। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এসময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পূনর্বাসনে ৪ লাখ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। পরে নিহত শিশুর কবর জেয়ারত ও পরিবারের সাথে কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, হ্যাপি চৌধুরী প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলালের ঘরে দূর্বৃত্তদের আগুনে তার মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮) মারা যায়। এছাড়া বেলালসহ তার দুই মেয়ে স্মৃতি আক্তার (১৭) ও বিথি আক্তার (১৪) দগ্ধ হয়। বেলাল সদর হাসপাতালে এবং তার দুই মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি থানায়। ঘটনার রহস্যও উদঘাটন হয়নি।
