সংসদীয় আসন বিন্যাসের পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন


লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের সংসদীয় আসন বিন্যাসের পক্ষে বিপক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে পৃথক পৃথক এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। তবে দুটি মানববন্ধনই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে ছিল।
টুমচর ইউনিয়নকে লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে সরিয়ে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি পক্ষ মানববন্ধন করে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরেন। এতে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ, অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুন নবী আরজু, সবুজ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহীন আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম ফারভেজ, আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সৈয়দ ফাহাদ আমিন প্রমুখ। তারা বলেন, জেলা শহরের সাথেই টুমচরের অবস্হান। রায়পুরের সঙ্গে টুচরের কোন যোগাযোগ নেই।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে টুমচর থাকায় যেকোন নির্বাচিত এমপিকেও পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আমাদের টুমচর ইউনিয়নবাসীর প্রাণের দাবি সদর আসনের সঙ্গে থাকা।
অপরদিকে টুমচর ও বশিকপুর ইউনিয়নকে লক্ষ্মীপুর ২ আসন থেকে সরিয়ে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে নেওয়ার দাবি ষড়যন্ত্র দাবি করে পাল্টা মানববন্ধন করে আরেকটি পক্ষ। এতে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, সদর (পশ্চিম) উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান সোহেল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাঈদুর রহমান চৌধুরী ভুট্টু, পার্বতীনগর ইউনিয়নের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, যুবদল নেতা মুক্তার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
বিএনপি নেতা হাসিবুর রহমান বলেন, ১৯৮৪ সালে লক্ষ্মীপুরকে জেলা করা হয়। তখন শাকচর ইউনিয়ন থেকে বিভক্ত করে টুমচর ও চররমনী মোহন নামে আরও দুটি ইউনিয়ন করা হয়। শাকচর ইউনিয়নটি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সঙ্গেই ছিল। পরে তিনটি ইউনিয়নকেই লক্ষ্মীপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৮৬ সাল থেকে ১০টি সংসদ নির্বাচনেই টুমচর এবং বশিকপুর লক্ষ্মীপুর-২ আসনের অংশ ছিল। কে বা কারা এই দুটি আসনকে এখন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন। এ দাবী অযোক্তিক বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।
প্রসঙ্গত, আগামিকাল (২৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন ভবন অডিটরিয়ামে লক্ষ্মীপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সীমানা বিন্যাস নিয়ে শুনানির আয়োজন করা হয়েছে।