নভেম্বর ৮, ২০২৫

জেনে নিন কালোজিরা খাওয়ার ৩৭টি  উপকারিতা

0
1762579568647

বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসায় কালোজিরার ব্যবহার বহু পুরনো। ‘নাইজেলা সাটিভা’ (Nigella Sativa) নামের এই ছোট কালো বীজটি শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না, শরীর ও ত্বকের জন্যও উপকারে ভরপুর। ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নিধন থেকে শুরু করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি  প্রায় ৩৭টি ক্ষেত্রে কালোজিরার উপকারিতা প্রমাণিত।

‎শরীরের জন্য কালোজিরার উপকারিতা:

‎স্মরণশক্তি বৃদ্ধি: পুদিনা বা কমলার রসের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, দুশ্চিন্তা কমায়।

‎মাথাব্যথা ও সর্দি-কাশি: মাথায় তেল মালিশ ও মধুসহ সেবনে দ্রুত আরাম মেলে।

‎বাত ও চর্মরোগ: হলুদের রসের সঙ্গে কালোজিরা তেল ব্যবহার কার্যকর।

‎হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ: নিয়মিত সেবনে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হৃদযন্ত্র শক্তিশালী হয়।

‎ডায়াবেটিস: খালি পেটে এক চিমটি কালোজিরা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।

‎শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি: দুধ বা রং চায়ের সঙ্গে কালোজিরা তেল মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

‎যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি: নিয়মিত সেবনে নারী-পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে।

‎লিভার ও কিডনির সুরক্ষা: কালোজিরা লিভারের বিষক্রিয়া নাশ করে এবং কিডনির পাথর প্রতিরোধে সহায়ক।

‎রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রতিদিন এক চামচ মধুর সঙ্গে কালোজিরা খেলে শরীরের প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

‎অর্শ রোগ নিরাময়ে: এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেবন করা।

‎মধু ও কালোজিরার পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগিয়ে আধাঘন্টা বা একঘন্টা রাখে ধুয়ে ফেলুন, এতে ত্বক উজ্জ্বল হবে। যদি আপনার ব্রণের সমস্যা থাকে তাহলে আপেল সাইডার ভিনেগারের সাথে কালোজিরা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। নিয়মিত লাগালে ব্রণ দূর হবে।

‎শুষ্ক ত্বকের জন্য কালোজিরার গুঁড়া ও কালোজিরার তেলের সাথে তিলের তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগান। এক সপ্তাহের মধ্যে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।দুগ্ধ দানকারি মা’দের দুধ বৃদ্ধির জন্য : যেসব মায়েদের বুকে পর্যাপ্ত দুধ নেই, তাদের মহৌষধ কালোজিরা। মায়েরা প্রতি রাতে শোয়ার আগে ৫-১০ গ্রাম কালোজিরা মিহি করে দুধের সঙ্গে খেতে থাকুন। মাত্র ১০-১৫ দিনে দুধের প্রবাহ বেড়ে যাবে। এছাড়া এ সমস্যা সমাধানে কালোজিরা ভর্তা করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। এছাড়া একচা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধুসহ দৈনিক ৩বার করে নিয়মিত সেবন করুন। যা শতভাগ কার্যকরী।

‎দেহের উন্নতি: নিয়মিত কালোজিরা সেবনে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে সতেজ করে ও সার্বিকভাবে স্বস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। এছাড়া অরুচি, পেটে ব্যথা, ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, জ্বর, শরীর ব্যথা, গলা ও দাতে ব্যথা, পুরাতন মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, খোসপঁচড়া, শ্বেতি, দাদ, একজিমা, সর্দি, কাশি, হাঁপানিতেও কালোজিরা অব্যর্থ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।এটি মূত্র বর্ধক ও উচ্চরক্তচাপ হ্রাসকারক,গ্যাসট্রিক, আলসার প্রতিরোধক, ভাইরাস প্রতিরোধক, টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক, ব্যাকটেরিয়া এবং কৃমিনাষক, রক্তের রক্ষাকারক, যকৃতের বিষক্রিয়ানাষক, এলার্জি প্রতিরোধক, বাতব্যথা নাশক। অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালোজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কালোজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *