গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ, অভিযুক্ত বলছেন ফাঁসানোর চেষ্টা


লক্ষ্মীপুরে একটি প্রশিক্ষণ প্রাইভেট কার আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িত থাকার সন্দেহে আমানত হোসেন সুমন নামে একটি ড্রাইভিং স্কুলের পরিচালক বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী মো. সুমন। তবে আমানত বলছেন, ঘটনার দিন তিনি চট্টগ্রাম ছিলেন। তিনি ঘটনার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। ফাঁসানোর জন্যই চক্রান্ত করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সদর উপজেলার জকসিন উত্তর বাজার এলাকায় আব্দুল সালাম ড্রাইভিং স্কুলের কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেন আমানত এসব কথা বলেন।
জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর রাতে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের আবিরখিল দোনালী বাড়িতে সুমনের গাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়। গাড়ির মালিক সুমন থানায় আমানতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমানত হোসেন সুমন জানান, তিনি সদর উপজেলার জকসিন উত্তর বাজারের ‘আবদুস সালাম ড্রাইভিং স্কুল’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠান থেকে লোকজনকে ড্রাইভিং শেখানো হয়। তার বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক প্রতিহিংসা শুরু করে তার সাবেক কর্মচারি সুমন। সেও একটি গাড়ি ক্রয় করে ড্রাইভিং শিখাচ্ছে। তার গাড়িটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। সে সন্দেহ করে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমি ঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নই। ঘটনার রাতে আমি ব্যবসায়িক কাজে চট্টগ্রাম ছিলাম। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে পুলিশের কাছে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ভুক্তভোগী মো. সুমন বলেন, চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় আমানত আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এজন্য তার বন্ধু মহিন ঘটনার ২০ দিন আগে আমার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারাই পরিকলিপ্তভাবে আমার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। ঋণ নিয়ে আমি গাড়ি কিনেছি। আমি এর বিচার চাই।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাজিব বড়ুয়া বলেন, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগটি তদন্ত চলছে। অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।