৭ খাদ্যাভ্যাসে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো সম্ভব


আগে লিভার ক্যানসার মূলত বয়স্কদের রোগ হিসেবে বিবেচিত হতো। তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তরুণদের মধ্যেও এ রোগের প্রবণতা বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, স্থূলতা, অতিরিক্ত মদ্যপান, হেপাটাইটিস সংক্রমণ এবং অ্যালকোহলবিহীন ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) যা মূলত অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সম্পর্কিত এখন লিভার ক্যানসারের প্রধান কারণ হয়ে উঠছে।
লিভার শরীরের টক্সিন ছেঁকে ফেলা ও হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই এ অঙ্গের সুরক্ষায় প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
ঝুঁকি কমাতে যেসব খাবার কার্যকর
.আঁশযুক্ত শস্য – ওটস, যব, ব্রাউন রাইস ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়
.ক্রুসিফেরাস সবজি – ব্রোকলি, সরিষা শাক ও বাঁধাকপি লিভারের ডিটক্স এনজাইম সক্রিয় করে।
.কফি – পরিমিত কফি পান প্রদাহ কমায় ও সিরোসিসের ঝুঁকি হ্রাস করে।
.বেরি ও চেরি – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এ ফলগুলো লিভার কোষকে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করে।
.গ্রিন টি – ক্যাটেচিন লিভারের চর্বি ভাঙতে ও প্রদাহ কমাতে সহায়ক।
.ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড – আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড ও চর্বিযুক্ত মাছ লিভারের চর্বি কমায় ও ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ায়।
.রসুন ও পেঁয়াজ – সালফার যৌগ লিভারের ডিটক্স প্রক্রিয়া সক্রিয় করে এবং এনজাইমের ভারসাম্য উন্নত করে।
চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত এসব খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণ, অ্যালকোহল পরিহার ও পর্যাপ্ত ঘুম লিভারকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা রাখে।