জুলাই ১, ২০২৫
Lakshmipur Anee News pic 25.06.2025

নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘আমরা তারেক রহমানের অপেক্ষায় আছি। তারেক রহমান ওনার প্রস্তুতি নিয়ে শীঘ্রই দেশে আসবেন। তারেক রহমান এতদিন আসতে পারেন নাই। প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যাক্তি তিনি দেশের বাইরে গেছেন। একটা সুযোগে তারেক রহমানের সাথে একটা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কিভাবে তারেক রহমান কথা বলেছেন, মায়ের সালাম পৌঁছে দিয়েছেন। এই যে দুজনের সাথে কথাবার্তা, দেশ নিয়ে আলোচনা। আমরা মনোবল পেয়েছি আস্বস্ত হয়েছি।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তারেক রহমান বিদেশে কথা বলছে এটা কি কোন অপরাধ হয়েছে? তারেক রহমানের সঙ্গে অনেক আগে তো কথা বলার দরকার ছিল। কারণ বিএনপি একটি বড় দল, জিয়াউর রহমানের দল, গণমানুষের দল, আপোসহীন নেত্রীর দল। খালেদা জিয়া কষ্ট করেছেন শ্রম দিয়েছেন ত্যাগ স্বীকার করেছেন মামলা খেয়েছেন। অত্যাচারিত হয়েছে নির্যাতিত হয়েছেন । তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন। তাহলে এত বড় দলের নেতার সাথে কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক। তারেক রহমান তো বিদেশে বেড়াতে যাননি। তিনি বাধ্য হয়ে দেশের বাইরে ছিলেন। তার সঙ্গে বৈঠকটা হয়েছে আমরা আস্বস্ত হয়েছি। এটাই তো আমাদের চাওয়া পাওয়া ছিল। এরপর বেগম খালেদা জিয়া তার সাথেও বৈঠক হওয়ার দরকার ছিল। তারপরও একটা দেখা-সাক্ষাৎ হয়েছে , সশস্ত্র বাহিনী দিবসে। কিন্তু রাজনৈতিক আলোচনার জন্য খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক হয়নি, যেহেতু তিনি অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু সরকার যদি বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে দেখা করত, আমরা খুশি হতাম। তারপর আমরা এই কথাগুলো তুলে ধরে নি, বলিনি। তাহলে আজকে দুই একজন বলার চেষ্টা করে যে, বিদেশে তারেক রহমানের সাথে কেন বৈঠক হয়েছে, এই কথাটা বলাটা কি ঠিক হয়েছে? দরকার ছিল না কারণ আমরা তো সবাই মিলে আন্দোলন করেছি। সবাই মিলে সংগ্রাম করেছি ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে।
এ্যানি বলেন,আমরা বিজয় অর্জন করেছি, এ বিজয়ের পেছনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ঘাম, শ্রম, কষ্ট ছিল। আন্দোলন, সংগ্রাম, নেতৃত্ব ছিল। খালেদা জিয়া জেলে গিয়েছেন, মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। অসুস্থ হয়েছেন।
তারেক রহমান দেশের বাহিরে ছিলেন, দেশের বাইরে থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ এক এবং ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ আমরা ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে হাসিনাকে পালিয়ে যাবার ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েছি। শেখ হাসিনা কে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। কিন্তু সে গণশত্রু ছিল।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ২০১৪ তে ভােট দিতে পারেন নাই, ২০১৮ তে ভোট দিতে পারেন নাই, রাতের অন্ধকারে ভোট হয়েছে। ২০২৪ এ আমাদের সবাইকে মামলা দিয়ে গণগ্রেফতার করে তারা ভোট করেছে। ভোট কিভাবে হয়, কিভাবে দিতে হয়, নতুন প্রজন্ম ভোটার হতে পারে নাই, ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে নাই। আমরা লজ্জিত ছিলাম। ৫ আগস্টের পর আমাদের সবকিছু গোছানোর সুযোগ হয়েছে, ভোট দেওয়ার মতো একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আমরা দলের ভোট আজকে করছি আগামী দিনে আমরা দেশের ভোট করব। এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
এদিন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচনপূর্ব সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ন আহবায়ক গোলাম সারওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমাম সোহেল প্রমুখ।