ব্যাংকের ভেতরেই প্রতারক চক্রের ফাঁদে নারী

0
bank-20250417141545

নিজস্ব সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরে ব্যাংকের ভেতর থেকে এক নারীর ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক চক্র। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার ৬ মিনিটি ৪৬ সেকেন্ডের ফুটেজ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।

এদিকে গত ২৩ মার্চ লক্ষ্মীপুর চক বাজার মসজিদ মার্কেটে ইসলামী ব্যাংকের জেলা শাখার ভেতরে প্রতারক চক্রের তিন সদস্য অভিনব কৌশলে সেলিনা আক্তার নামে ওই গ্রাহকের টাকা নিয়ে নেয়। একই দিন ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। ঘটনার ২৪ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।

ভুক্তভোগী সেলিনা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর এলাকার খোরশেদ আলমের স্ত্রী।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ৩ জন লোক আগে থেকে ব্যাংকে অবস্থান করছিল। এর মধ্যে একজনের পরনে পাঞ্জাবি-মাথায় টুপি ও মুখে সাদা দাড়ি ছিল। অন্য দুইজন শার্ট-প্যান্ট পরা ছিল, তাদের একজনের মুখে দাড়ি ছিল। তাদেরকে অহেতুক ব্যাংকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। টাকা জমা দেওয়ার জন্য রশিদ রাখার স্থানেই তাদেরকে বেশি সময় দেখা যায়। একপর্যায়ে পাঞ্জাবি পরিহিত লোকটি সোফায় গিয়ে বসে। সেখানেই টাকা গুনছিলেন ভুক্তভোগী সেলিনা। একপর্যায়ে পাঞ্জাবিওয়ালা লোকটি তার থেকে টাকা নিয়ে শার্ট-প্যান্ট পরিহিত লোকের কাছে গুনতে দেয়। তাকে টাকা গুনতেও দেখা যায়। তখনও টুপিওয়ালা লোক ওই নারীর সঙ্গে বসে ছিলেন। তাদের আরেক সদস্য চারপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। এর মধ্যে যিনি টাকা গুনছিলেন, তিনি তার মানিব্যাগ থেকে কি যেন (টাকা) বের করে ওই নারীকে দেয়। পরে ভুক্তভোগী কাউন্টারের দিকে গেলে টাকা নিয়ে ব্যাংক থেকে বের হয়ে যায় চক্রের তিনজন লোক।

সেলিনা বেগম বলেন, আমার ব্যাংক হিসেবে ২ লাখ টাকা ছিল। টাকা উঠিয়ে সোফার ওপর এসে বসি। এরমধ্যে এক লাখ টাকা গুনে সাইড ব্যাগে রেখেছি। অপর এক লাখ টাকা গুণনার সময় এক মুরুব্বি এসে বলে মা তোমার পাশে একটু বসি, এ কথা বলে তিনি বসেছে। তিনি আমাকে বলেন, টাকাগুলো চেক করে নিও, টাকা ছেঁড়া পড়ে। উনি আমাকে বলে দেখো- আমার দুই হাজার টাকা ছেঁড়া পড়েছে। এরপর কি হয়েছে আমি জানি না, আমি উনাকে সব টাকা দিয়ে দিয়েছি। একটু ছেঁড়া নোট নিয়ে আমাকে কাউন্টারে পাঠিয়েছে পরিবর্তনের জন্য। নোটগুলো পরিবর্তন করে এসে দেখি তারা নেই। তারা তিনজন লোক ছিল।

লক্ষ্মীপুর ইসলামী ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার দিনই ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে থানা থেকে পুলিশ এসে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে যায়। ভূক্তভোগী গ্রাহক অন্য একজনকে টাকা গুণতে দিয়েছে, ওরাই টাকা নিয়ে গেছে। টাকা গুণতে সমস্যা হলে আমার কাছেও তিনি আসতে পারতেন। অচেনা অজানা লোকদের টাকা দেওয়া ঠিক হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *