কয়েক হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে দুটি বিশাল শোভাযাত্রা করেছেন লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত দুইজন সংসদ সদস্য প্রার্থী। একই সময়ে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় আয়োজিত এসব শোভাযাত্রায় অন্তত ৮ হাজার মোটরসাইকেল অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারীরা নিজস্ব খরচে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে এবং 'পরিবর্তনের পথে অগ্রযাত্রা' স্লোগানে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি ও কমলনগর) আসনের জামায়াতের প্রার্থী এআর. হাফিজ উল্লাহ ও তার নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন। একই সময়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অংশ নেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এআর হাফিজ উল্লাহ কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠ থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়; শেষ হয় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ৬০ কিলোমিটার দূরে রামগতি বাজারে গিয়ে।
অন্যদিকে জেলা শহরের ইটেরপুল থেকে রেজাউল করিমের শোভাযাত্রা শুরু হয় এবং ১৫ কিলোমিটার দূরের চন্দ্রগঞ্জ বাজারে গিয়ে শেষ হয়।
রেজাউল করিম ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী। অন্যদিকে হাফিজ উল্লাহ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী।
জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নেওয়াজ শরীফ এবং আবু রায়হান। ৬০ দূরের রামগতি থেকে তোরাবগঞ্জ এসেছিল নিজেদের প্রার্থীর মোটরশোভা যাত্রায় অংশ নিতে। দুজনই বলেন, নেতাকর্মী যারা এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন, প্রত্যেকে নিজেদের তেল খরচ এবং মোটরসাইকেলের খরচ নিজেরা বহন করেছেন।
পুরো সংসদীয় আসনের বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অন্তত ৫ হাজার মোটরসাইকেল জড়ো হয়েছিল।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থীর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অন্তত তিন হাজার মোটরসাইকেল অংশগ্রহণ করে।